কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বিরোধী প্রার্থীদের নিয়ে দলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কে কার দলে ভিড়ছেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ভর করছে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবদুল হাকিমের সুযোগ্য সন্তান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের কামরুল ইসলাম বলেন, “আমার বাবা আজীবন দলের জন্য কাজ করে গেছেন। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি বার বার বিএনপি-জামায়াত শিবিরের রোষানলে পড়েছেন। একের পর এক তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করেও তিনি দলের জন্য কাজ করে গেছেন, কখনো নিজের স্বার্থের জন্য দলকে বিসর্জন দেননি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নৌকার লোক, দলের সাথে বেইমানি করতে পারবো না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক যেভাবে নির্দেশনা দিবেন, আমাকে ঠিক সেভাবে চলতে হবে। আমি দলীয় আদর্শ ও নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলের সাথে বেইমানি করতে পারবো না। দল যাকে সমর্থন দিয়েছে আমি তার জন্যই কাজ করবো।”
এবার বরুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বরুড়ার বর্তমান সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলের সমর্থিত বরুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বরুড়া যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বকতার হোসেন বখতিয়ার।
নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী সকল আলোচনা-সমালোচনাকে ঝেড়ে ফেলে প্রচার-প্রচারণায় এখন ব্যস্ত। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
আসন্ন ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের পোরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্য প্রার্থীরাও এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তবে, কে হচ্ছেন বরুড়ার অভিভাবক। তা নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন সাবেক পৌর মেয়র ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাহাদুরজ্জামান, যুবলীগ নেতা মিয়া কামরুল ইসলাম ও আব্দুল কাদির।