করোনা পরিস্থিতি বাড়তে থাকায় লকডাউনের পর এবার জরুরি অবস্থা জারি করলো মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে লিখিত এক বক্তব্যে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেন দেশটির রাজা ইয়াং ডি পারতুয়ান আগং আল সুলতান আব্দুল্লাহ রি-আয়াতুদ্দিন আল মোস্তাফা বিল্লাহ শাহ।
রাজার এ ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১২ জানুয়ারি থেকে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে এই জরুরি অবস্থা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বীদ্ধান্ত নেওয়া হবে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার কিংবা বৃদ্ধি করা হবে কি না।
এর আগে গতকাল সোমবার জাতির উদ্দেশ্য এক ভাষণে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ জানুয়ারী পর্যন্ত এমসিও ২.০ লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, করোনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটি কারফিউ নয়। এটি কোন রাজনৈতিক কিংবা সেনা অভ্যুত্থানও নয়। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কোন কারফিউ জারি করে গৃহবন্দী করা হবে না ।
রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহর মতামত, কোভিড -১৯ সংক্রমণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে এবং ফেডারেল(জাতীয়) সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা রাজ্যের ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে যা জনগণের সুরক্ষা ও জাতির স্বার্থে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সতর্ক করে বলেন, ইতোমধ্যে অধিক সংক্রমণের কারণে কুয়ালালামপুর হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি মালয়া হাসপাতাল শতভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। করোনার চিকিৎসা দেওয়া অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা অনেক। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে জনগণের সুরক্ষার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে স্বাভাবিক হলে এ বিষয়ে স্বীদ্ধান্ত নেওয়া হবে।