করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে দেশের ১০ জেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কার্যক্রম চালাতে এরই মধ্যে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, প্রাথমিকভাবে সেসব জেলাকে অ্যান্টিজেট টেস্ট শুরুর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এই টেস্টের মাধ্যমে বিশেষ ভাইরাল অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।
প্রাথমিকভাবে গাইবান্ধা, মুন্সীগঞ্জ, পঞ্চগড়, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মেহেরপুর, সিলেট, জয়পুরহাট ও পটুয়াখালীতে অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেয় সরকার। এর আড়াই মাস পর শনিবার থেকে এই পরীক্ষা চালু হলো।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দ্রুত সময়ে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য এই অ্যাটিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অ্যান্টিজেন টেস্ট অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। এতে কোনো ব্যক্তির নেগেটিভ ফল এলে তাকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। দেশে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতেই সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়।